Tue, Sep 9, 2025

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ধর্ম ব্যবসা

রোহিঙ্গাদের নিয়ে ধর্ম ব্যবসা
  • PublishedSeptember 28, 2017

“বাঁচাও মুসলমান… বাঁচাও রোহিঙ্গা…” ব্যানারে চরমোনাই পীরের মুরিদদের ট্রাক ঢাকা শহরের একাধিক জায়গায় দেখলাম। রোহিঙ্গাদের সাহায্যে টাকা তুলছেন। ও সরি, ভুল বললাম, রোহিঙ্গা ইনভার্টেড কমা “মুসলমান”-দের জন্য টাকা তুলছেন। ইসলামী নাসিদের সাথে সাথে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে কিভাবে মায়নমারে “মুসলমান” পুরুষদের হত্যা করা হচ্ছে, “মুসলমান” নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে।

মনে পড়ে গেলো রিশাদ আহমেদ সম্পাদিত “৭১ এর যুদ্ধাপরাধীরা কে কোথায়” বইতে মুক্তিযুদ্ধে চরমোনাইর পীর ছাহেবের কর্মকাণ্ডের বয়ান উল্লেখ করা ছিল এই ভাবে-

“মওলানা এস এম ফজলুল করিম বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে চরমোনাইয়ে একটি আবাসিক মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাক হানাদারদের অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্যে শত শত বাঙালি মেয়ে ওই মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয়। তারা মনে করেছিল মাদ্রাসা একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আর মওলানা এসএম ফজলুল করিম একজন ধার্মিক লোক, তার আশ্রয়ে পাক হানাদার বাহিনী মেয়েদের উপর চড়াও হবে না। মওলানা সাহেব তাদের রক্ষা করবেন।

চরমোনাইর পীর ফতোয়া দিয়েছিলেন এইসব আশ্রয়হীনা ভীত মেয়েরা হচ্ছে গণিমতের মাল-পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর এদের ভোগ করা জায়েজ আছে।

নৃশংসভাবে অত্যাচারিত এইসব মেয়েদের মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী নদীতে ফেলে দেয়া হতো বা মাদ্রাসার পেছনে গণকবরে পুঁতে ফেলা হতো। ওই মওলানা নিজ হাতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দুকে জবাই করে নদীতে ফেলে দিয়েছিল। এদের মৃতদেহ যাতে ভেসে না উঠে সেজন্যে পেট কেটে ভাসিয়ে দেয়া হতো।”

গ্রন্থঃ “৭১ এর যুদ্ধাপরাধীরা কে কোথায়”
সম্পাদনাঃ রিশাদ আহমেদ
প্রকাশনীঃ স্বরাজ প্রকাশনী
পৃষ্ঠা নাম্বারঃ ৮৪

দিন, আপনাদের সর্বস্ব তুলে দিন সেই মুসলমান ভাইদের হাতে যারা আপনার মা-বোনদের গণিমতের মাল বলে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর ভোগ করার জন্য জায়েজ করেছিলো…