Friday, January 22, 2021
Daily Atheist
Advertisement
Advertisement
  • প্রথম পাতা
  • এথিস্ট সংবাদ
  • এলজিবিটি সংবাদ
  • আর্টিকেল
  • মতামত
  • রিভিউ
  • সম্পাদীয়
  • আমাদের সম্পর্কে
  • আমাদের টিম যুক্ত হোন
  • যোগাযোগ
No Result
View All Result
Daily Atheist
No Result
View All Result
Home ধর্ম

আমি কিভাবে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হলাম- গাজী ফাতিহুন নূর

আমি কিভাবে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হলাম

Prashanta Baroi by Prashanta Baroi
November 29, 2019
in ধর্ম
আমি কিভাবে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হলাম- গাজী ফাতিহুন নূর
589
SHARES
3.3k
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

গাজী ফাতিহুন নূর এর মতে……

বার্ট্রান্ড রাসেল লিখলেন ‘আমি কেনো ধর্মবিশ্বাসী নই’, হুমায়ুন আজাদ লিখলেন ‘আমার অবিশ্বাস’, প্রবীর ঘোষ লিখলেন ‘আমি কেন ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না’; আর এখন আমি লিখছি- আমি কিভাবে ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হলাম।

আমার জন্ম মুসলিম পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই অনেক অভিযোগ অনুযোগ করেছি ঈশ্বরের কাছে। শৈশব থেকে যখন আমার মৃত্যু চিন্তা মাথায় আসতো,- সান্ত্বনা পেতাম এটা ভেবে যে, আমি মরার পরেও মরবো না। আমি যখন কবরে যাব আমার ইন্দ্রিয়গুলো সচল থাকবে, আমার দৃষ্টি থাকবে, চেতনা থাকবে ত্বকের। ছোটবেলা থেকে আমি ভয় পেতাম আমার ঐ অনুভূতিহীনতাকেই। আমি একসময় মরে যাব, একটা গভীর ঘুম দিবো, পৃথিবীর গন্ধ নিব না, ফুল ছুঁয়ে দেখবো না, হাত প্রসারিত করে বাতাসের সামনে দাঁড়াবো না, এগুলো আমি কখনোই মেনে নিতে পারি নি শৈশব থেকে। মানুষ মরে পড়ে থাকে এটা ভেবেই আমি প্রথম কেঁপে উঠেছিলাম ক্লাস ওয়ানে। ছোটবেলা হতে এটা ভাবতে ভালো লাগতো যে, আমার মৃত্যুর পর যে পরকাল আছে সেখানে আমি বেঁচে থাকবো। সেখানেও আমার স্পর্শ থাকবে, দৃষ্টি থাকবে, আমার পার্থিব ভাল লাগা-খারাপ লাগা-যাতনা-সুখবোধ-দুখবোধ থাকবে। আমি ছোটবেলা হতেই নিশ্চিত ছিলাম আমি নরকে যাব। এটা আমার কখনো দুঃখের কারণ হয়নি কারণ নরকে তো আমার অনুভূতি থাকবে। আমি তো বেঁচে থাকবো অনেকগুলো মুহুর্ত ! আমি একসময় ভয় পেতাম ঘুমকেও। কারণ যা আমার অজানা সেখানেই ছিলো আমার ভয়।

আমি যখন আমার চেতনা প্রথম দিকে বুঝতে শুরু করলাম, খুণাক্ষরেও সন্দেহ হয় নি ঈশ্বরের অস্তিত্বে। ঈশ্বর আছেন, আছেন এবং আছেন। ক্লাস ফোরে একবার মনে ভেতর হুট করে প্রশ্ন এসেছিলোঃ যদি না থাকেন? ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। প্রশ্নটা লুকিয়ে রেখেছিলাম একটা কৌটায়। বেশ কয়েকবার তওবাও করেছিলাম। তবুও একসময় জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘ঈশ্বর এলেন কোথা থেকে?’ ‘ঈশ্বরের সৃষ্টিকর্তা কে?’। এই প্রশ্নগুলো করা মানা ছিলো। এর উত্তর আল্লাহই ভালো জানেন। এসব প্রশ্ন করাও ঠিক না। আমি এধরণের উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারি নি। প্রত্যেক আস্তিকের মনেই এ ধরণের প্রশ্ন প্রথম প্রথম আসে। তারা বিভিন্ন যুক্তির মাধ্যমে এড়িয়ে যান, নিজেকে প্রবোধ দেন। নিজেকে এবং অন্যকে বুঝান যে, আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞানে এগুলো জানা সম্ভব হচ্ছে না। অথবা, একটা পিপড়ে কি মানুষের জন্ম রহস্য জানতে পারে? এ যুক্তিটি অনেককে থামিয়ে দেয়। তবুও কিছু কথা থেকে যায়। পিঁপড়ের যদি প্রশ্ন করা সম্ভব হয় তাহলে উত্তরটাও জানা সম্ভব হতে পারে। হয়তো পিঁপড়ে প্রশ্ন করে না; তবে মানুষ করে। উত্তর না পেলে মানুষের ভালো লাগে না। যারা জ্ঞানের প্রতি অসৎ, একটু ভীতু রুঢ়তার সামনে দাঁড়ানোর, তারা হয়তো পিছিয়ে যায়। আমি অসৎ নই, সম্ভবত ভীতুও নই। এটা নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই; তবে উল্লেখ করা যেতে পারে। ক্লাস সিক্সে প্রথম ধারণা পেয়েছি নাস্তিক থাকতে পারে। তাদের জন্যে আমার করুণা হয়েছিলো। খুব অবাক হয়েছিলাম এটা ভেবে যে, মানুষ নাস্তিক হবার মত এতো বোকা কিভাবে হতে পারে ! আমি কখনো নাস্তিক হবো না। মরে গেলেও না। নিজের ভাগ্যকে অনেক ধন্যবাদ দিতাম কারণ আমি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেছি। আমি যদি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ না করতাম তাহলে প্রকৃত সত্যটা এত সহজে জানতেই পারতাম না! করুণা হতো হিন্দুদের জন্যেও। তারা কখনো বেহেশতে যাবে না। ক্লাস থ্রিতে আমার এক শিক্ষক ছিলেন অনন্ত কুমার মণ্ডল নামে। উনি আমার অত্যন্ত প্রয় শিক্ষক ছিলেন। যখন জানতে পারলাম হিন্দুরা বেহেশতে যাবে না- খুব মন খারাপ হতো স্যারের জন্যে। আমার মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছিলো স্যার বেহেশতে যাবেন না এর একমাত্র কারণ উনি হিন্দু। নামাজ পড়েও দোয়া করেছি উনি যাতে কোন একদিন মোসলমান হয়ে যান। শুধু হিন্দুদের জন্যেই না, পশু পাখির জন্যেও খারাপ লাগতো যখন শুনলাম মৃত্যুর পর এগুলোর কোন বিচার নেই। বেচারিগুলো একেবারের জন্যেই মরে যাবে ! আমার মনে পড়ে, আমি দু কারণে আমার জন্মভাগ্যকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিয়েছি। এক, আমি মানুষ হয়ে জন্মেছি। দুই, আমি মুসলমান হয়ে জন্মেছি।

ক্লাস সেভেনেই কোন এক সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনেছিলাম আব্বু বলছে, মৃত্যুর পর কিছু নেই। সেদিন সকালে আমার গা ছমছম করে উঠেছিলো। ছোটবেলা হতে আব্বুকে প্রচুর শ্রদ্ধা করেছি, আব্বুর প্রত্যেকটা কথা বিনা বাক্যে মেনে নিয়েছি। মা যখন ভাত খাওয়াতো ভূতের গল্প বলে, উত্তরে ধনচে ক্ষেতে ডাকে ‘মাউক্কা’ নামের এক ভূত থাকে, এটি বলে ভয় দেখাতো,- তখন একটু একটু বিশ্বাস করেছিলাম ভূতে। এক রাতে (আমি সম্ভবত পড়েশুনা শুরু করি নি) আব্বুকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আব্বু ভূত আছে? আব্বু সাথে সাথে বলেছিলোঃ ভূত থাকলে ভূতের সাথে কুস্তি লাগতাম। বুঝে গিয়েছিলাম ভূত নেই। এর পর থেকে আমি আর ভূতে বিশ্বাস রাখি নি। দুনিয়ার সকল মানুষের কথা একদিকে আর আমার বাবার কথা একদিকে। আমার বাবা পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ। আমার বাবা ভুল বলেন না, এই বিশ্বাস আমার দীর্ঘদিন ছিলো। সেদিন সকালে যখন বাবার মুখে শুনেছিলাম কাদের যেনো বলছিলো, মৃত্যুর পর কিছু নেই। আরো অনেক কথাই সেদিন বলেছিলো, কিন্তু আজ এ বয়সে আমার কানে বাজছে সেই একটি লাইন, ‘মৃত্যুর পর কিছু নেই’। সারাদিন এই বাক্যটা নিয়ে ভেবেছি। আমার সন্দেহ হয়েছিলো, আব্বু কি কোন ভুল করছে ! আমি মেনে নিতে পারছিলাম না আব্বু কোন ভুল করতে পারে, এটাও গ্রহণ করি নি মৃত্যুর পর কিছু থাকবে না। আমি আজ একটা সত্যি কথা বলিঃ আমি ঈশ্বরকে কখনোই ভয় করি নি; ভয় করেছি মৃত্যুকে। যখন শুনেছিলাম মৃত্যুর চেয়ে বেশি ভয় করতে হয় ঈশ্বরকে আমার মন খারাপ হয়েছিলো এটা ভেবে যে, এই আদেশ আমি কখনোই পালন করতে পারব না। আবার বেশ কিছুক্ষণ মনে মনে হেসেছিলামও, ঈশ্বরকে ভয় পাওয়ার মত ঈশ্বর তখন এমন কিছু করেন নি।

আমার বাবা নাস্তিক নন। সুফিবাদী মানুষ। সেভেন থেকে এসএসসি পর্যন্ত আমাকে এই ভাববাদ শান্তি দিয়েছিলো। প্রথমদিকে এই দর্শন আমাকে খুবই আকর্ষন করতো। তন্ময় হয়ে শুনতাম বাবার কথাগুলো। এখানে আমার সবচেয়ে বেশি হাফ ছাড়ার জায়গা ছিলো এর ধর্ম নিরপেক্ষতা। এখানে মানুষকে মানুষ ভাবা যাচ্ছে এটিই আমার সবচেয়ে বড় সুখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। খুব ভালো লাগতো রুপকের চালে চালে তাদের বেহেশত দোযখের বর্ণণা, ঈশ্বর, আদম-হাওয়া, মানুষ, শয়তান, রাম, কৃষ্ণ। তাদের কথা ছিলো, মানুষই ঈশ্বর। কথাটা বেশ আকর্ষনীয় হলেও এ-কথাটার এখন আর মূল্য আমার কাছে নেই। তাঁরা ধর্মের বেশ গুঢ় অন্তর্নিহিত আলোচনা করেন, ভারী ভারী ব্যাখ্যা দেন, সমস্ত কিছুকে রুপক বলে চালিয়ে দেন। ইমান, হাশর, নরক, স্বর্গ, আদম, ইবলিশ, ফেরেশতা সবই তাদের কাছে রুপক। ঈশ্বর কোন কথা সরাসরি বলেন নি। তাঁরা দেন নামাজের অন্তর্নিহিত সংজ্ঞা, রোজার অন্তর্নিহিত সংজ্ঞা, পুজোর গুঢ় অর্থ, সত্যিকারের ওযু কাকে বলে। ইন্টারের শেষের দিকে যখন আমি মনে করলাম, এটিতে এখন সন্দেহ তৈরী করা যেতে পারে তখন হঠাত মনে হলো এগুলো তাদের বিভ্রান্তি ছাড়া কিছুই না। ওনারা শুধু শুধু ক্রমেই তাদের কথাগুলোকে জটিল করে তুলছেন, আসলে সমস্ত অন্তঃসারশূন্য। এখন মূলত তাঁরা মুমূর্ষূ ধর্মকে রুপকের স্যালাইনে বাচাচ্ছান। বিবর্তনবাদ বিশ্বাস করতাম ক্লাস নাইন থেকেই। যেদিনই প্রথম বায়োলজি ক্লাসে তুলি মেডাম প্রথম বলেছিলেন, আমাদের মেরুদণ্ডের নিচে এখনো বিলুপ্ত লেজের অংশটা আছে, সেদিন থেকেই বুঝে ফেলেছি এর চেয়ে চমৎকার তত্ত্ব হয় না। ইন্টারের দিকে যখন মনে হলো, সুফিবাদীরা চোখ বন্ধ করে সবকিছু দেখতে চাচ্ছে, তখন মনে হলো আমি অনেক অনেক আগে থেকে আসলে নাস্তিক হয়ে বসে আছি যা এতদিন টেরই পাই নি। একটা লাইনই আমাকে চূড়ান্তভাবে ঈশ্বর এবং ধর্ম থেকে চিরতরে সরিয়ে দিলো, “আজ থেকে দশ লক্ষ্য বছর আগে যখন মানুষ শিকার করে বেড়াতো তখন তাদের ঈশ্বরও ছিলো না, ধর্মও ছিলো না, এবং সেখানে ছিলো না কোন সুফিবাদী”। জীবনটা এরকমইঃ প্রান জন্মাচ্ছে, মরছে। কোথাও কোন ঐশ্বরিকতা নেই। রহস্যময়, অজানা, অচেনা অনেক কিছু থাকতে পারে; কিন্তু নেই কোন ঐশ্বরিকতা। আমার মনে নিভৃত আসনে অথবা আকাশের অনেক অনেক উপড়ে নেই কোন ছড়ি ঘোরানোর মত কেউ। একসময়ের আমাদের যেই শিকারী পূর্বপুরুষ যেভাবে খুব স্বাভাবিকভাবেই জন্মেছিলো এবং মরে গিয়েছে আরো স্বাভাবিকভাবে আমরাও তেমনই মরে যাবো। একসময়ের সক্রেটিস যিনি খুবই জীবন্তভাবে গালে হাত দিয়ে চিন্তা করেছিলেন জীবনের উনিও ক্ষয়ে গিয়েছিলেন সময়ের স্রোতে। এটাই প্রকৃতি। এই বাস্তবতা থেকে আমাকে প্ররোচনা দিয়ে বাচাতে পারবে না কোন ধর্ম; এমনকি কোন ভাববাদী দর্শন। আমি আর কোন কিছুতেই বিশ্বাস রাখার প্রয়োজন মনে করি নি।

আমি জানি প্রত্যেকটা ধার্মিক ঈশ্বরের থেকে বেশি ভয় পায় মৃত্যুকে। এর কারণ অতি সহজ, মৃত্যু ভয়ের পায়ের ছাপ অনুসরণ করেই এসেছে ঈশ্বর। তাই হয়তো নিয়ানডার্থাল প্রজাতিদের ধর্মে কোন ঈশ্বর ছিলো না; ছিলো পরকাল। আমি অনেকটা সময় ধর্মকে একমাত্র আকড়ে রেখেছি একটু বাঁচবো বলে। এখন পারয়ি ভাবি, যখন বিশ্বাস করতাম ঈশ্বরে কত প্রবলভাবেই না করতাম সে বিশ্বাসগুলো! কতো জান্তব ছিলো বিশ্বাসগুলো! আর কত প্রবল অস্তিত্বয়মান! আমার কাছে কত সত্য ছিলো ঈশ্বর আর পরকাল! আজ আমার কাছে এগুলো তারচেয়েও মিথ্যা। আমার অনেক আস্তিক শুভাকাংখী এবং শত্রুরাও বলেন যে আমাকে ধর্মটা একটু ভালো করে জানতে এবং তাদের পবিত্র গ্রন্থখানা ভালো মত পড়ে দেখতে। আমি মনে মনে বেশ কিছুক্ষণ হাসি। অনে ধার্মিকরা নাস্তিকদের কি মনে করে জানি না। মানুষ নিজের ধারণাকে নিজে নিজে অতিক্রম করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না। তাদেরওবা কিভাবে দোষারপ করা যাচ্ছে। তবে মুখে বলিঃ আমি আগ্রহী না।
মানুষ ধর্মকে যক্ষের ধন করে আগলে রাখে মৃত্যুভীতির কারণেই। আমি অনেক যুক্তিবাদী মানুষকে দেখেছি, সমস্ত প্রশ্নের মীমাংসা শেষে তাঁরা যখন দেখে ঈশ্বর ছাড়াও আমরা শ্বাস নিচ্ছি প্রানভরে, একটা কালো দেয়াল দেখিয়ে নিজেকে প্রবোধ দিয়ে বিশ্বাস রাখে ঈশ্বরের। আমার তখন খুব অসহায় লাগে তাকে। মানুষ যদি মৃত্যুকে ভয় না পেতো তাহলে কখনোই সে বিশ্বাস রাখতো না পরকালে এবং ঈশ্বরে। যারা এখন একটু ভয়ে ভয়ে বিশ্বাস করে ঈশ্বরের তাদের আর আমার কিছু বলার নেই। মানুষের অস্তিত্বটাই সব। সে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে নিজের অস্তিত্বকে অর্থবহ করতে পারে। মানুষ স্বাধীন। তবে আমি সেটা পারি নি। আমি আমার জ্ঞানকে শোষিত হতে দিবো না কখনোই। আমি জানি এই পৃথিবীর অনেক কিছুই আমার অধিকারে নেই। আমার সিথানের পাশের চিরচেনা ল্যাপটপটাওকে আমি পুরোপুরি অধিকার করতে পারি নি। একমাত্র আমি আমার অধিকারে রাখতে পারি আমার ‘চিন্তাভাবনা’কে। এটি আমি কারো উপড় ছেড়ে দিবো না। আমি হয়তো আমার জীবনের শেষ পর্যন্ত নিজের জ্ঞানকে শোষণের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করবো। জীবনের প্রতিটা পদে পদে, মুখের হাসিতে হেরে যাচ্ছি সমাজ আর জীবনের কাছে। যা আমার অধিকারে তাকেও যদি আমি বুঝে না নিই তাহলে আমি ঠিক কি নিয়ে বাঁচবো। তাছাড়া আমার আর কিই-বা থাকে !

আমি অনেকগুলো কথা বলার জন্যে হাতে তুলে নিয়েছিলাম ল্যাপটপটা। জমে আছে অনেকগুলো কথা। মাইক্রোসোফট ওয়ার্ডের চার পেইজে এসেও দেখা গেলো বলা হলো না কিছু। অবিশ্বাসের কথা অনেক বলেছি। আজ বলতে চেয়েছিলাম দৃষ্টিভঙ্গির কথা। আমার ভেতর জমে জমে যাচ্ছে কথার পাহাড়। এদিকে মানুষ মরছে, ওদিকে ঘাস ফড়িং উড়ছে। এদিকে আগুন জ্বলছে, ওদিকে ফুল ফুটছে। যে যার মত যাকে গালি দিচ্ছে, মারছে, কাটছে, খোঁচাচ্ছে, কষ্ট দিচ্ছে। নিজের বিশ্বাস্বের লোকগুলো ছাড়া আর পৃথিবীর অন্য সকল অস্তিত্ব এখন হয়ে গেছে নিজের কাছে অর্থহীন। প্রত্যেকটা বিশ্বাসের পেছনেই এখন দানা বেঁধেছে মৌলবাদ। সত্যি বলতে কি, আমি এখন কারো প্রতিই সন্তুষ্ট নই। তাই একা একা জোনাকির পিছনে ছুটি। আর মাথার ভেতর উকি দেই সেই দার্শনিক উক্তি, ‘আমি আমার অস্তিত্বটাই প্রমাণ করতে পারি’।

এই লেখাটি কপি অ্যান্ড পেস্ট মুক্তমনা থেকে- https://blog.mukto-mona.com/2014/02/25/39962/

Tags: https://blog.mukto-mona.coproshanta barai
Share236Tweet147
Previous Post

জুয়া খেলায় হেরে ৫ বউকে বিক্রি সৌদি রাজপুত্রের

Next Post

আমাদের ধর্ম, আমাদের ঈশ্বর- ভজন সরকার

Prashanta Baroi

Prashanta Baroi

Daily Atheist

The Daily Atheist is a magazine which provides in-depth articles, reviews and lively commentary from a rationalist viewpoint. Daily Atheist is an authentic source for news that matters to the atheist community. News, articles and other relevant events are provided here, written by our team of journalist and volunteers, which are based on atheism and solely focused on Atheist community.

আমাদের প্যানেল

Muhammad Abdur Rahman
Editor
Quazi Wahiduzzaman
Senior sub-Editor
Syed Sunvy Anick Hossain
Assistant Editor
Muhaiminul Biswaz Parvez
Contributor
Adnan Saqib
Contributor

Rajib Kumar saha

Contributor

Muhammad Jillur Rahman

Contributor and Archive Editor

গুরুত্বপূর্ণ লিংক

  • কুকিজ পলিসি
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • আমাদের টিমে যুক্ত হোন
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ

© 2021 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.

No Result
View All Result
  • Home
  • Landing Page
  • Buy JNews
  • Support Forum
  • Pre-sale Question
  • Contact Us

© 2021 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.