Tuesday, March 2, 2021
Daily Atheist
Advertisement
Advertisement
  • প্রথম পাতা
  • এথিস্ট সংবাদ
  • এলজিবিটি সংবাদ
  • আর্টিকেল
  • মতামত
  • রিভিউ
  • সম্পাদীয়
  • আমাদের সম্পর্কে
  • আমাদের টিম যুক্ত হোন
  • যোগাযোগ
No Result
View All Result
Daily Atheist
No Result
View All Result
Home ধর্ম দর্শন

ইসলাম শুধুই পুরুষের ধর্ম, নারীদের নয় – পর্ব -৩

Sultanul Arefin Siam by Sultanul Arefin Siam
May 28, 2019
in ধর্ম দর্শন
588
SHARES
3.3k
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

নারীদের অনেকভাবে কোরানে অপমানজনক কথা বলা হয়েছে। পুরুষদের শ্রেষ্ঠ করে তলা হয়েছে। সরি থেকে শুরু করে, জিখন পুরুষের ইচ্ছা হবে  তখনি সে সহবাস করতে পারবে নারীদের সাথে। এমনকি বিবাহিত স্ত্রীর সাথে। সেখানে একজন নারীর ইচ্ছার কোন মূল্য নেই। কারণ নারী হল পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্য। যখন ছাইবে তখনি দিতে বাধ্য থাকিবে। আমরা কতটুকু পরিমাণ একজন নারীকে ছট করি। তাকে প্রাপ্ত সম্মান ডঃেই না। এমন কি তার নিজের শরীরটার উপর তার নিজের কোন অধকার থাকে ন আ। শুধু পুরুষদের জন্যই তার শরীরটা। আমরা কত স্বার্থপর। একজন নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কত বার তাকে ধর্ষণ করে চলেছি দিনের পড় দিন রাতের পর রাত।

সূরা নং ২ আল বাকারা (বকনা বাছুর)

আয়াত নং ১৮৭:

“সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জম্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ। আল্লাহ জেনেছেন যে, তোমরা নিজেদের সাথে খেয়ানত করেছিলে। অত:পর তিনি তোমাদের তওবা কবুল করেছেন এবং তোমাদের ক্ষমা করেছেন। এখন তোমরা তাদের সাথে মিলিত হও এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা লিখে দিয়েছেন, তা অনুসন্ধান কর। আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কাল রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অত:পর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফ রত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমা রেখা, সুতরাং তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না। এভাবেই আল্লাহ তার আয়াত সমূহ মানুষের জন্য স্পষ্ট করেন।”

উক্ত আয়াত পড়ে কি মনে হয়? নারীদের জন্য সিয়াম আছে? নারীদের জন্য যদি সিয়াম মানে রোজা ফরজ হত তা হলে আয়াতটা এমন হত-

সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য সহবাস হালাল করা হল। অতএব তোমরা স্বামীস্ত্রী সহবাস কর, পবিত্র হও আর আহার করে সিয়াম পালন কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম।

এখানে অবশ্য আরেকটা বিষয় লক্ষ করা যাচ্ছে। আল্লাহ সিয়ামের সময় স্ত্রীগমন হারাম করে ছিলেন। কিন্তু আল্লাহর প্রিয় মুমিনগণ রাতের অন্ধকারে স্ত্রীদের পেয়ে কাজ করে ফেললেন। এখন আল্লাহ আর কী করবেন? মাফ করে এটা হালাল করা ছাড়া তার আর গতি নাই। আল্লাহ কি পুরুষ? না হলে তাদের দুঃখকষ্ট এত তাড়াতাড়ি বুঝে কি করে? অথবা তার অস্তিত্বের জন্য পুরুষ দরকার। ওহ আরো লক্ষ করুন যখন ওইটা দরকার তখন তোমরা তাদের পরিচ্চদ আর তারা তোমাদের পরিচ্ছদ। আর অন্য সময় তালাক দাও, ঐ কর, সেই কর।

সূরা ২ আল বাকারা (বকনা বাছুর)

আয়াত নং ২২১:

“আর তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে কর না, যতক্ষণ তারা ঈমান আনে এবং মুমিন দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে নিশ্চয় উত্তম, যদিও সে তোমাদের মুগ্ধ করে। আর মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিও না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। আর একজন মুমিন দাস একজন মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদের মুগ্ধ করে। তারা তোমাদেরকে আগুনের দিকে আহবান করে, আর আল্লাহ তার অনুমতিতে তোমাদেরকে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন এবং মানুষের জন্য তার আয়াত সমূহ স্পষ্ট রূপে বর্ণনা করেন, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।”

এই আয়াতটিতে দেখা যাচ্ছে, তোমরা মানে পুরুষশার্দূলগণ। কারণ, ‘তোমরা মুশরিক নারীদের বিয়ে করো না’ এবং ‘মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিও না।’ তারা বিয়ে করবে না এবং তারাই বিয়ে দিবে না। বুঝালাম না আল্লাহতালা নারীদের ভাসুর মনে করে কিনা। সরাসরি না বলে আরেক জনকে দিয়ে বলায় বা করায়। যদি নারীপুরুষ সবার জন্য কোরান নাযিল করা হত তাহলে আয়াতটা এভাবে লেখা যেত-

“আর তোমরা মুশরিক নরনারীদের বিয়ে করো না যতক্ষণ না তারা ঈমান আনে। মুসলিম দাসদাসী মুশরিক নরনারী থেকে উত্তম যদিও তারা তোমাদের মুগ্ধ করে।” এইটুকু মাত্র লিখলেই হত। কিন্তু শুধু পুরুষদেরকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে আয়াতটিকে লম্বা করা হয়েছে।

সূরা নং ২ আল বাকারা (বকনা বাছুর)

আয়াত নং ২৩৬:

“তোমাদের কোন অপরাধ নেই যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দাও এমন অবস্থায় যে, তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করনি কিংবা তাদের জন্য কোন মোহর নির্ধারণ করনি। আর উত্তমভাবে তাদেরকে ভোগ উপকরণ দিও, ধনীর উপর তার সাধ্যানুসারে এবং সংকটাপন্নের উপর তার সাধ্যানুসারে। সুকর্মশীলদের উপর এটা আবশ্যক।”

এখানেও তোমাদের কোন অপরাধ নেই যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে তালাক দাও, এমন অবস্থায় যে, তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করনি কিংবা মোহর নির্ধারণ করনি। আবার একই রকম পুরুষ তোষণ। কেন আল্লাহ? পুরুষ ছাড়া মনে হয় আপনার ধর্ম টিকতো না। মোহর কি স্ত্রীকে স্পর্শ করার জন্য? তবে তো ভালো হত একবার স্ত্রী গমনে কত মোহর তা নির্ধারণ করলে। আর রান্নাবান্না আর বাকী কাজের জন্য দৈনিক খাবার আর কাপড় চোপড়। এরপর কি মনে হতে পারে ধর্ম নারীদের জন্য!

সূরা নং ৫ আল-মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)

আয়াত নং ৬:

“হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দণ্ডায়মান হতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং টাখনু পর্যন্ত পা (ধৌত কর)। আর যদি তোমরা অপবিত্র থাক তবে ভালো ভাবে পবিত্র হও। আর যদি অসুস্থ হও কিংবা সফরে থাক অথবা যদি তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে অথবা তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না, বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে এবং তার নিয়ামত তোমাদের উপর পূর্ণ করতে, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।”

উপরের আয়াতে সালাতে দণ্ডায়মান হতে হলে পুরুষদের কখন কী কী করতে হবে তার বর্ণনা রয়েছে। এখানে বলা হচ্ছে তোমরা যদি স্ত্রী সহবাস কর অত:পর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। তার মানে হল নামাজ শুধু পুরুষদের জন্য। আর যদি নারীপুরুষ সবার জন্য তবে আয়াতটিতে স্ত্রীসহবাস না লিখে শুধুমাত্র সহবাস লিখলেই হত। নারীরা বুঝে নিতো নামাজ তাদেরও জন্য। স্ত্রীসহবাস হওয়ায় বুঝা যাচ্ছে নামাজ শুধু পুরুষদের জন্য। নারীর জন্য নয়।

পুরো কোরান শরীফ জুড়ে আরো বহু জায়গায় এভাবেই মহান আল্লাহতালা, হে নবী, নবীকে উদ্দেশ্য করে তুমি, কখনও আপনি, হে মুমিন, হে মুমিনগণ বা তোমাদের বা তোমরা বলে পুরুষদেরই সম্বোধন করে কথা বলেছেন। মাঝে মঝে নিজের প্রশংসা করেছেন, নিজে কী করেছেন, কী করবেন তা বলেছেন। আর আছে বিভিন্ন নবী কাহিনীর বর্ণনা।

কোথাও এমন নেই ‘তোমরা’ শদটি দিয়ে নারীপুরুষ সবাইকে বুঝিয়েছে কিংবা ‘মুমিন’ শব্দটি দিয়ে নারীপুরুষ সবাইকে বুঝিয়েছে। পুরুষদেরকে বলে দিচ্ছেন নারীদের হেন কর, তেন কর। হাতে গোনা কিছু বাদে বা কোথাও কোথাও খুব কম জায়গায় নারীপুরুষ উভয়কে থার্ড পারসনে বলেছেন। কেন আল্লাহ? পুরুষ আপনার পেটের আর নারী আপনার পিঠের। নাকি নারী কুড়িয়ে পাওয়া? নাকি আপনি নারীদের ভয় পান? নাকি লজ্জা পান? নাকি নারীদের আপনার দরকারই নেই। আপনার দরকার পুরুষ আর পুরুষের দরকার নারীর। নাকি আপনি পুরুষ গোত্রীয়? একবার কি বলা যেতো না, হে নারীগণ।

আমরা অদ্ভুত এক সমাজে বাস করি। সেখানে নারীদের জন্য ইসলাম ধর্ম্যা সম্মান টুকু পর্যন্ত নেই। আমরা সমাজের হাজারো কথা বলই।এত কিছু সহ্য করার পরয় একজন ধর্ষিতা নারীর সম্মান হানির পেছনে লেগে থাকি কিন্তু যে ধর্ষক তার বিচার করি না। কারণ ধর্ষণ যে হয়েছে তার কোন ছাহহুকশ প্রমাণ থাকে না। প্রমাণের ওভাবে বিচার হয় না। বিচার ব্যাবস্থা অন্ধ। আর সেই ধর্ষিতা নারী সমাজে আর কোনদিনও মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো তো দূরে থাক সে তো  ঠিক মতো বাঁচতেও পারে না। ইসলামে তাকে পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলার হুকুম আছে। কি বর্বর পুরুষ শাসিত ধর্ম। সেখানে নারীরা হয় লাঞ্ছিত আর নিষ্পেষিত।

Share235Tweet147
Previous Post

কেন বাড়ছে সংখ্যালঘু নির্যাতন?

Next Post

Nigeria's undercover atheists: In their words

Sultanul Arefin Siam

Sultanul Arefin Siam

Daily Atheist

The Daily Atheist is a magazine which provides in-depth articles, reviews and lively commentary from a rationalist viewpoint. Daily Atheist is an authentic source for news that matters to the atheist community. News, articles and other relevant events are provided here, written by our team of journalist and volunteers, which are based on atheism and solely focused on Atheist community.

আমাদের প্যানেল

Muhammad Abdur Rahman
Editor
Quazi Wahiduzzaman
Senior sub-Editor
Syed Sunvy Anick Hossain
Assistant Editor
Muhaiminul Biswaz Parvez
Contributor
Adnan Saqib
Contributor

Rajib Kumar saha

Contributor

Muhammad Jillur Rahman

Contributor and Archive Editor

গুরুত্বপূর্ণ লিংক

  • কুকিজ পলিসি
  • প্রাইভেসি পলিসি
  • আমাদের টিমে যুক্ত হোন
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ

© 2021 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.

No Result
View All Result
  • Home
  • Landing Page
  • Buy JNews
  • Support Forum
  • Pre-sale Question
  • Contact Us

© 2021 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.